জ্বালানি তেলের খরচ সাশ্রয়ে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন স্থগিত রেখে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হতে যাচ্ছে। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।
সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, সোমবার থেকেই ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করার পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হবে।
তিনি বলেন, এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।
বৈঠকের পর বিভিন্ন এলাকার জন্য লোডশেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করেছে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।
কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং তার সম্ভাব্য তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
এছাড়া বৈঠকে রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখ, সরকারি-বেসরকারি সব অফিসে ভার্চুয়ালি বৈঠক এবং মসজিদে এসি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। লোকসান কমাতে বৈঠকে সপ্তাহে একদিন পেট্রাল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।
একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিস ভার্চুয়ালি করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
এদিকে, অফিসের সময় কমানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জ্বালানি তেলের খরচ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিসের সময় কমানো হবে কী না, সে বিষয়ে দ্রুতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
সোমবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অফিসে যতটুকু না করলেই না এমনভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার বিষয়টি চিন্তা করছি। এ বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে জানাবো। মানুষের কষ্ট যাতে না হয় সেটা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেব।